
প্রকাশিত: Thu, Jan 26, 2023 3:16 PM আপডেট: Sat, May 10, 2025 7:30 AM
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার এবং নারী সাহিত্যিকদের জন্য আনওয়েলকামিং ও বৈরী পরিবেশ
অর্জয়িতা রিয়া : বাংলা একাডেমির সাহিত্যের পুরস্কার স্কুলের দৌড় প্রতিযোগিতা না। এখানে পলিটিক্স আছে, ষড়যন্ত্র আছে, পুরস্কার দাতাদের ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দ আছে। সাহিত্যের বিচার অধিকাংশ সময়ই এখানে মুখ্য না। একজন নারী সাহিত্যিককেও পুরস্কার না দেওয়াটা বাংলা একাডেমির সচেতন সিদ্ধান্ত। মনের ভুলে এমন হওয়ার চান্স নাই।
একজন বললেন, ‘নিশ্চয়ই নারী সাহিত্যিকরা পিছিয়ে আছেন’। পুরস্কার যে শুধু প্রতিভা বা দক্ষতার বিষয় না তা তো উপরেই বললাম। কিন্তু আপনারা যে এই কথার মধ্য দিয়া বলতেছেন, ‘পুরুষ সাহিত্যিকরা সাহিত্যগতভাবে আগায়া আছেন’, তা কীসের ভিত্তিতে বলতেছেন? পুরুষ সাহিত্যিকদের সাহিত্য বিবেচনা কইরা? নাকি পুরুষ সাহিত্যিকরা পুরুষ হওয়ার কারণেই পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন বইলা আপনি মনে করেন?
আমাকে এইখানে নারীবাদী হইতে একজন নিষেধ করলেন। কিন্তু উনি নিজে কেন এতো স্পষ্ট একটা জিনিস বুঝতে পারলেন না? এতজন সাহিত্যিকের মধ্যে কেন একজন নারীর নাম নাই এইটা প্রশ্নটা বুঝতে নারীবাদী হওয়া লাগে না। এইটা আনফেয়ার একটা লিস্ট। আপনি পুরুষ হন নারী হন নারীবাদী হন অনারীবাদী হন, এই আনফেয়ারনেস সবকিছুর বাইরে থাইকাও আপনার ধরতে পারার কথা। অবশ্য যদি এই আনফেয়ারনেসে আপনি সমস্যা বোধ করেন, বলা তো যায় না!
কখনো কি বাংলা একাডেমির কোনো পুরস্কারের লিস্ট দেখছেন যেখানে একজন পুরুষেরও নাম নাই? দেখেন নাই। আপনি বলতে চাইতে পারেন, পুরুষরা তো সংখ্যাগরিষ্ঠ। তা বটে, কিন্তু নারী সাহিত্যিকদের সংখ্যা এতো কম না যে পুরস্কার দেওয়ার সময় কাউকে খুঁইজা পাওয়া যাবে না। পুরুষ সাহিত্যিকদের মতো প্রতিবছর ওনাদেরও বই বের হয়, ওনারাও অ্যাকটিভলিই সাহিত্য করতেছেন সবাই। বরং সাহিত্য বিবেচনা কইরা যদি পুরস্কার দেওয়া হইতো, সেখানে আপনি অবশ্যই নারী সাহিত্যিকদের নাম পাইতেন। যেইটার ঠিক উল্টাটাকে আপনি এখন সাধারণ ঘটনা হিসেবে নিয়া পাশ কাটাইতে চাইতেছেন।
১৫ জন পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখকের তালিকায় (পুরুষের বদলে) একজন নারী লেখকেরও নাম না থাকা আপনার কাছে অধিক গ্রহণযোগ্য। এমনটা সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রেও হইতে দেখেন আপনি। নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণগুলো সব জায়গায় হইলেও একটা জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানে এই ধরনের প্র্যাকটিস বেশি ক্ষতিকর। মানুষ জাতীয় পর্যায়ের পুরস্কারকে বিশ্বাস করে। নারী সাহিত্যিকমুক্ত সাহিত্য সমাজ তৈরি ও বহাল রাখতে চাওয়ার মতো চেষ্টাগুলো, সাধারণ মানুষদের সেই বিশ্বাসের সুযোগ নেয়। তাদের বোকা বানায় ও অন্ধকারে রাখে।
বাংলা একাডেমির এই লিস্ট আসলে প্রকাশ করে দিল নারী সাহিত্যিকদের জন্য এখানকার সাহিত্য করার পরিবেশ কতো আনওয়েলকামিং ও বৈরী। সাল ২০২৩ হইলেও বাংলা একাডেমি ও বাংলা একাডেমির এই লিস্টকে সমালোচনার ঊর্ধ্বে রাখতে চাওয়া আপনারা হাজার বছর পিছায়া আছেন। আপনারা শুধু পুরুষতান্ত্রিক না, এই জিনিস অ্যাপ্লাই করার নতুন নতুন ক্ষেত্রের ভোক্তা সমাজও। ফেসবুক থেকে
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
